ইসলাম অনুযায়ী বীর্য খেলে কি হয়?
ইসলাম কি বীর্যকে নাপাক বস্তু হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে?
ইসলামে বীর্য খাওয়া
ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে শুনে এসেছি,বক্তারা অনেক সুন্দর করে মধুর সুরে বলে মানুষকে মহান আল্লাহ তালা নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি করছেন। কিন্তু না, বীর্য কোন অবস্থাতেই নাপাক নয়।বীর্য খেলে কিছুই হয় না।
অধিকাংশ বক্তারা বীর্যকে নাপাক বলে থাকে মুলত সুরা মুরসালাত এর ২০ নম্বর আয়াত এর ব্যাখ্যা থেকে।
ইসলামে বীর্য খাওয়ামহান আল্লাহ তালা বলেন
“আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি?”
*সূরা মুরসালাতঃ আয়াতঃ ৭৭:২০।
এখানে মহান আল্লাহ তালা বীর্যকে তুচ্ছ পানির সাথে তুলনা করেছেন।নাপাক বা হারাম বলেননি।ইসলাম অনুযায়ী বীর্য খেলে ক্ষতিও নেই।
এখন পরবর্তী টপিকে আসা যাক।
ইসলাম অনুযায়ী বীর্য খেলে কি হয়?
ইসলামে বীর্য খাওয়াযৌন মুহুর্তকে দীর্ঘায়িত করতে বা আনন্দদায়ক করতে অনেক দম্পতিই পরস্পরের যৌনাঙ্গ তে লেহন করে থাকেন বা মুখ দিয়ে থাকেন।অনেক সময় স্বামীর বীর্য স্ত্রীর মুখের ভেতর ও পরে থাকে।তাহলে ইসলাম অনুযায়ী বীর্য খেলে কি গুনাহ হবে ?
মনে রাখবেন ইসলামে শুধু মাত্র কয়েকটি কাজ ব্যতীত স্বামী স্ত্রীর ভেতরে সমস্ত কিছু বৈধ।
এমনকি ওরাল সেক্স ও বৈধ।
কেননা যেসব বিষয় এ ইসলামে সরাসরি কোন নিষেধ নেই বা আলেমগন সর্বসম্মতিক্রমে হারামের তালিকাভুক্ত করেননি সেগুলো হালাল। মহান আল্লাহ তায়ালা হারাম হালালের বিষয় এ বলেছেনঃ
"তিনি সকল নিষিদ্ধ বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছেন।"
- কুরআন, সুরা আল আনামঃ ১১৯।
অর্থাৎ কুরআন ও হাদিস এ যেই কাজ করতে নিষেধ করেনি সেগুলোই হালাল।
এখন আমরা সুরা আল বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াত টা দেখি।
মহান আল্লাহ তালা বলেন
তবে ওরাল সেক্স কে হারাম বলা হুজুরদের কিছু যুক্তি থাকে।যেমন ওনারা বলে থাকেন যেই মুখে দ্বারা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়,সেই মুখ নাপাক লজ্জাস্থানে লাগানো কিভাবে হালাল হতে পারে?
প্রথমত ইসলাম অনুযায়ী বীর্য নাপাক নয়। আর যুক্তির খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে বীর্য নাপাক তাহলে এটা বলুন আপনি আপনার শৌচকর্ম কিভাবে সম্পাদন করেন।কেননা কোরআন মাজীদ উভয় হাত দিয়েই ধরার প্রয়োজন পড়ে।যেই হাত দিয়ে শৌচকার্য করে থাকেন সেই হাত দিয়েই কুরআন মাজীদ স্পর্শ করা তাহলে কি??
গরুর ভুড়ি পছন্দ করেন না এমন লোক খুব কমই আছেন, কিন্তু ভুড়ির ভেতরে তো নাপাক মল থাকে।তাহলে সেই ভুড়ি পেটে গেলে কি ইবাদত কবুল হবে?
সুতরাং হুজুরদের এসব যুক্তি অর্থহীন।
ওরাল সেক্স অনেক প্রাচীন কাল থেকে চলে আসতেছে। যদি কাজটা হারাম হতো তবে রসুল সাঃ অবশ্যই নিষেধ করে যেতেন। বা ইসলাম বীর্য খেলে কি হয় এই বিষয় সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতো। যেমন ইসলাম নিষেধ করেছে এনাল সেক্সকে।একইভাবে ওরাল সেক্স খারাপ হলে আল্লাহ অথবা তার রাসুল স্পষ্ট করে নিষেধ করতেন।
কিন্তু বিজ্ঞান কি বলে? বিজ্ঞান অনুযায়ী বীর্য খেলে কি হয়?
বীর্য মুলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত।যারা বিজ্ঞানের ছাত্র না তাদের বোঝার সুবিধার্তে বলা যায় তেল চর্বি এগুলোও প্রোটিন। অর্থাৎ তেল চর্বি বা বীর্য একই জাতীয়। অর্থাৎ নরমালি বীর্য খেলে কোন ক্ষতি নেই।
সতর্কতা-ঃ
তবে একটা জিনিস মনে রাখা উচিত নোংরা যে কোন খাবার পেতে গেলেই পেট খারাপ হয়।
বীর্য খেলে তখনই ক্ষতি হবে যদি সেই বীর্য কোন প্রকার রোগের জীবাণু বহন করে থাকে বা পুরুষটি নিজের স্বাস্থের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন না হয়ে থাকে। সাধারণত যৌনবাহিত রোগ গুলো বীর্যের মাধ্যমেই ছড়িয়ে থাকে।এছাড়া যদি পুরুষ ব্যক্তিটি অতিরিক্ত নোংরা হয়ে থাকে তবে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবো।সুস্থ সুন্দর ইসলামী জীবন যাপন করবো।
আপনার মন্তব্য কমেন্ট বক্সে জানাতে কিন্তু একদমই ভুলে যাবেন না।
2 Comments
Astagfirullah. মানুষকে এইভাবে পাপের পথে ডাকতেছে এই খবিসেরা৷ এটা যদি এতোই হালাল ছিলো তাহলে আল্লাহর রাসুল করে যান নি কেনো?
ReplyDeleteসাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন করে যান নি কেনো?
অযৌক্তিক মন্তব্য করার চেয়ে আপনি আপনার যুক্তি এখানে তুলে ধরলে খুশি হতাম।
Delete