বাংলাদেশী নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা

নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা

বাংলাদেশী নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা

তৈরি করেছিল কিছু সংগঠন।পরবর্তীতে তারা সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছিল তাদের ফাসি দেওয়ার জন্য।তবে দুঃখজনক হচ্ছে তারা সেই নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা থেকে ৫ জনকে হত্যা করেছিল নিজেরাই।

এই কাজটা যারাই করে থাকুক না কেন এটা সত্যিই চরম উগ্রতার পরিচায়ক।ইসলাম কোনভাবেই নির্বিচারে হত্যা করা সমর্থন করে না।


এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই নাস্তিক কারা? যাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল? 



একটা জিনিস মনে রাখা উচিত পৃথিবীতে নাস্তিক ছিল, আছে, থাকবে।ইন্টারনেট সুলভ হওয়ার পরে নাস্তিকদের নাস্তিকতা ছড়ানোর কাজটা সহজ হয়েছে তবে এটা সত্য পুর্বেও এই বাংলার বুকে বহু অঘোষিত নাস্তিক ছিল। 


নাস্তিক ব্লগারদের তালিকাটা আগে দেখে নিই।


বাংলাদেশী নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা-১ -ঃ ব্লগার রাজীব ওরফে থাবা বাবা: 


বাংলাদেশী নাস্তিক ব্লগারদের তালিকায় বা বাংলা ভাষায়  ব্লগিং জগতে নাস্তিকদের গুরু হচ্ছে এই থাবা বাবা।এই আহাম্মক নিজের লেখায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে  হযরত মহাউন্মাদ কিংবা মোহাম্মক (মহা+আহাম্মক) নামে ডাকতো (নাউজুবিল্লাহ)।অথচ উনি নিজেই যে মহা আহাম্মক, আহাম্মকদের সর্দার তা হয়তো নিজেই উপলব্ধি করতে পারেনি।এই আহাম্মক নিজের লেখায় ইসলামকে নিয়ে যত প্রকার কটুক্তি বা কৌতুক করা যায় তার কোনটাই বাদ রাখেনি।তার বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদ জানানো সত্বেও সরকারের কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।কোনএকদিন ঘটনাক্রমে  কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এই উন্মাদকে হত্যা করেন।যদিও ওনার মৃত্যুর পর উনি নাস্তিক জগতে নায়ক বলে যান।বাংলাদেশের  নাস্তিকরা তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করে!!


বাংলাদেশী নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা ২ -ঃ আসিফ মহিউদ্দিন:



ব্লগিং জগতে নাস্তিকদের কাছে দ্বিতীয় গুরু হচ্ছে এই আসিফ উদ্দিন।পবিত্র ধর্ম  ইসলামকে অবমাননার দিক দিয়ে এই নাস্তিকের অবস্থান থাবা বাবার পরই। প্রবল জনরোষের কারণে ইনি বাংলাদেশ ছেড়ে জার্মানিতে অবস্থান নেন। বর্তমানে এই নাস্তিক জার্মানী থেকেই  উনার নাস্তিক্য মতবাদ প্রচার করে চলেছেন।  এই নাস্তিকের মতে  পবিত্র কুরআনকে“আহাম্মোকোপিডিয়া” (নাউজুবিল্লাহ) । এই বাংলাদেশী নাস্তিক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কল্পিত ও বিকৃত ছবি ব্লগে পোস্ট করেছেন।এছাড়া উনার বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরীফ বিকৃত করার অভিযোগ রয়েছে। 


বাংলাদেশী নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা ৩ -ঃ

 তসলিমা নাসরিন: 

 

বর্তমান যুগের সবচেয়ে আলোচিত নাস্তিক তথা নারীবাদী। বলতে তাকে চেনে না এমন মানুষ বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশে নেই বললেই চলে । তার খুবই  বিখ্যাত উক্তিটি হচ্ছে -"পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে "


নিচে সেই বিখ্যাত নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা সংযুক্ত করে দিলাম।



এছাড়াও বাংলা ভাষাভাষী কিছু বিখ্যাত নাস্তিকদের সম্পর্কে হালকা জেনে নিই।




কুষ্টিয়ার লালন শাহঃ লালনের অনুসারী যারা তারা প্রায় সবাই ছন্নছাড়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত। এই লালন ছিলেন তখনকার নাস্তিকদের গুরু।লালন ফকির নিজের জীবদ্দশায় নির্দিষ্ট কোন ধর্ম পালন করতো না। লালন প্রচার করতেন ধর্ম বলতে কিছু নেই।মানুষই প্রধান।মানুষই ধর্মকে তৈরি করেছিল।



কবি শামসুর রহমান:কবি শামসুর রহমানকে চিনেন না এমন ব্যক্তির সংখ্যা নেহায়েত কম।বাংলাদেশের নাস্তিকদের কাছে উনি একজন বরেন্য ব্যক্তি।উনার একটা খুবই  কুখ্যাত উক্তি আছে - "আযানের ধ্বনি বেশ্যার খদ্দের ডাকার ধ্বনির মত মনে হয় " নাউজুবিল্লাহ।



নাস্তিক সম্রাট আরুজ আলী মাতব্বর

আরুজ আলী মাতুব্বরের জন্ম দক্ষিনবঙ্গে।  প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষাজ্ঞান ছিল না যার কারণে ওনার জ্ঞানের পরিধি ছিল স্বল্প।সেই স্বল্প জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে ইসলাম সম্পর্কে সঠিকভাবে না জেনে বহু অভিযোগ করে গেছে।যদিও বাঙ্গালী নাস্তিক বলতেই আরুজ আলী বলতে অজ্ঞান।কিন্তু আরুজ আলী যেসব অভিযোগ করে গেছে তার সবই হাস্যকর এবং ইতোমধ্যে অনেকেই তার ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছেন।বর্তমানে বহু ইসলামী স্কলার উনার সমস্ত প্রশ্নের সুন্দর সমাধান দিয়ে দিয়েছেন।মুলত বলা হয়ে থাকে  সঠিক জ্ঞানের অভাবেই আরুজ আলী নাস্তিক ছিলেন।



আহমেদ শরীফ: বর্তমান যুগে বড় বড় নাস্তিকের নামের পাশে ওনার নাম বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রায়।তবে ইনি কিন্তু নিজের সময়ে খুব বলিষ্ঠ একজন নাস্তিক ছিলেন।  সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে উনি মৃত্যুর আগে ওনার নিজের জানাজার নামাজ পড়াতে নিষেধ করে গিয়েছিলেন।এমনকি ওনাকে কবর ও দেওয়া হয় নি।ওনার একটা বিখ্যাত উক্তি আছে।সেটা হলো -“পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও যেভাবে খুশি যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে।” 







হুমায়ুন আজাদ: ওনাকে সাহিত্যিক না বলে চটি লেখক লেখাটা ওনার জন্য বেশি সম্মান জনক।ব্যক্তি জীবনে মারাত্মক দাম্ভিক্তার অধিকারী এই ব্যক্তির লেখায় অশ্লীলতার পরিমান ছিল অত্যধিক বেশি। তবে উনিও আহমেদ শরীফের মত মৃত্যুর আগে জানাজার নামাজ পড়ানোর কথা বিশেষভাবে বলে গিয়েছিলেন।যদিও ব্যক্তিজীবনে সবসময় ধর্মের বিরোধিতা করে গেছেন।



 তরুনদের আইডল জাফর ইকবাল: 

 

ইনি বিখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর ভাই।

যুদ্ধের সময় এই ব্যক্তিকে খুজে না পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেখা যায় ইনিই সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লেখার মাধ্যমে তুলে ধরে নিজের মুখোশের আড়ালে। উনার প্রধান কাজ হচ্ছে লেখার মাধ্যমে তরুনদের মধ্যে নাস্তিক্য মতবাদকে ঢুকিয়ে দেওয়া। 




 আনিসুল হকঃ

 

১৯৯১ সালে পবিত্র  কুরআন শরীফ এর একটি সুরাকে উনি    ব্যঙ্গ করেন।পরবর্তীতে প্রবল জনরোষের কারণে ইনি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।যদিও

 উনি এখনো উনার লেখার মাধ্যমে নাস্তিকতাকে প্রচার করেই যাচ্ছেন।





শফিক রেহমান: 



বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ইনিই  “ভ্যালেন্টাইন ডে” প্রবর্তন করেন। উনি  যায়যায়দিন পত্রিকায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৯৯৩ সালে  এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন এই শফিক তাদের অন্যতম।ইনি ব্যক্তিজীবনে সমকামীতা ছিলেন। বাংলা ভাষায় চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়ে থাকে এই বাঙালি নাস্তিককে। মজার বিষয় হচ্ছে অশ্লীলতার দিক দিয়ে স্বয়ং  হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে  শিশুতুল্য । এই নাস্তিক “মৌচাকে ঢিল” নামে একটি সম্পাদকীয় তথা চটি সাহিত্যের সম্পাদক । ।


নাস্তিক ব্লগারদের তালিকার বাকি সবাইকে নিচে সিরিয়ালি দিয়ে দিলামঃ



১। আসিফ মহিউদ্দিন


২। আরিফুর রহমান


৩। রাজীব হায়দার শোভন


৪। অমি রহমান পিয়াল


৫। মনির হাসান


৬। ইব্রাহীম খলিল সবাগ


৭। আরিফ জেবতিক


৮। বৃত্তবন্দি


৯। আল্লামা শয়তান

১০। সৌমিত্র মজুমদার


১১। শৰ্মী আমিন


১২। সবাক


১৩। রতন সন্ন্যাসী


১৪। নাস্তিকের ধর্মকতা


১৫। শুভজিদ ভৌমিক

১৬। শয়তান


১৭। মনজুরুল হক


১৮। কথা


১৯। রাসেল


২০। দস্যু বনহুর


২১। দূরের পাখি


২২। আরিফুল হক তুইন


২৩। ভিত্তি আনা


২৪। নাজিম উদ্দিন


২৫। আলমগীর কুমকুম


২৬। ফরহাদ ইদ্দন স্বপন


২৭। ভালোমানুষ


২৮। ফারহানা আহমেদ


২৯। না


৩০। রাহান


৩১। অন্যকেউ


৩২। পাপী] ০০৭


৩৩। হোরাস


৩৫। আমি এবং আধার


৩৬। ভণ্ডপীর


৩৭। বৈকুণ্ঠ


৩৮। সত্যান্বেষী


৩৯। পড়ুয়া


৪০। হাল্কা বিপ্লব ০


৪১। সুমিত চৌধুরী


৪২। রাস্তার ছেলে


৪৩। ঘাতক

৪৪। বিশাল বিডি


৪৫। সাহোশি ৬


৪৬। লাইট হাউজ


৪৭। মমতা জাহান


৪৮। রাতমজুর


৪৯। কৌশিক


৫১। স্বপ্নকথক


৫২। প্রায় পাস


৫৩। আহমেদ মোস্ত


৫৪। কামাল


৫৫। লুকার


৫৬। নুহান


৫৭। সোজাকথা


৫৮। ট্রানজিস্টার

৫৯। দিওয়ান


৬০। রিসাত


৬১। সুব্র


৬২। অরণাদেব


৬৩। কেটুদা


৬৪। আমি রোধের ছেলে


৬৫। ভিন্নচিন্তা


৬৬। আউটসাইডার


৬৭। প্রণব আচার্য


৬৮। আবুল কাশেম


৬৯। আলমগীর হোসেন


৭০। অন্য আজাদ


৭১। অনন্ত বীজয় দাস

৭২। আশীষ চ্যাটার্জি


৭৩। অভিজিত রায়


৭৪। বিপ্লব কান্তি দে


৭৫। দাড়িপাল্লা ধমাধম


৭৬। নিতাই ভট্টাচার্য


৭৭। সৈকত চৌধুরী


৭৮। সুমন সওদাগর

৭৯। কৈশীক


৮০। আহমেদ


৮১। নুরনবী দুলাল


৮২। পারভেজ আলম


৮৩। সৈকত বড়ুয়া


৮৪। শান্ত দাস

Post a Comment

0 Comments