সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেও আছে নাকি নেই?

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে তথাকথিত নাস্তিকদের সংখ্যা সমানুপাতিক ভাবে বেড়ে চলেছে।তারা মনে প্রানে বিশ্বাস করতে চায় যে সৃষ্টিকর্তা বলে কেও নেই।


তারা কথায় কথায় নানা যুক্তিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন উক্তিকে তুলে ধরেন। অথচ বিজ্ঞানের প্রধান শর্তই বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল। বিজ্ঞানের কোন থিওরিই চিরন্তন সত্য নয়।
 
সৃষ্টি বলে কি কেও নেই বা কিভাবে, কোথা থেকে,কি করে এসেছিলেন এই ব্যাপার গুলো সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে আসবে না ,, তিনি কোথা থেকেও আসে নাই বা কোনো ভাবে সৃষ্টিও হয় নাই। তিনি সর্বদা ছিলেন আছেন আর থাকবেন। ধরুন আপনি যদি একটা কম্পিউটার তৈরি করলেন। তো এখন আপনি কি কম্পিউটারের ভিতরে প্রবেশ করে পার্টস গুলো লাগাবেন কিংবা কম্পিউটারের ভিতরে প্রবেশ করে প্রোগ্রামিং করবেন নাকি?? অবশ্যই না। যেহুতু আপনি ওটার নিয়ন্ত্রক সুতরাং বাইরে থেকে বসেই আপনি কম্পিউটারের প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। একইভাবে সৃষ্টিকর্তা বাইরে থেকেই অস্তিত্ব, সময়, জায়গা এগুলি সৃষ্টি করেছেন।সৃষ্টি কর্তাকে এগুলো সৃষ্টি করার জন্য এগুলোর ভেতরে প্রবেশ করতে হয়নি।


আমি যদি আপনাকে বলি ২ সংখ্যার ওজন কত বা লাল রঙের স্বাদ কেমন? এই প্রশ্ন যেমন অদ্ভুত।এই ধরনের প্রশ্ন যেমন পাগল ছাড়া কেও করবে না একই ভাবে সৃষ্টিকর্তা বলে কেও নেই এমন অবান্তর এরকম প্রশ্ন থাকা উচিত না ।। সামাণ্য একটা সুঁচ-ও সৃষ্টি করা লাগে,এমনি এমনি সৃষ্টি হয় না। আর এই তাবত বিশ্ব জগত,এতো বিচিত্র প্রাণীকুল,ফসল-ফলাদি এর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই! এমন গর্ধভমার্কা চিন্তা কেবল অতি উচ্চ লেভেলের গর্ধভদের মাথায়ই আসতে পারে। br
সৃষ্টি কর্তার সংজ্ঞা দিয়েই কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমান করা যায়। সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেও নেই এটা ভাবার আগে সংজ্ঞা কি বলে দেখুন সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন এমন কেও যার চেয়ে ক্ষমতাশালী আর কিছু ভাবা যায় না।অর্থাৎ তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। যদি বলা হয় সবচেয়ে বড় সংখ্যা কত? উত্তর হবে অসীম। অসীম অর্থ কি? সেটা কতো বড়? এইখানে এসেই কিন্তু সব বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি চুপ।কেননা এর কোন উত্তর নেই। ঠিক একইভাবে সৃষ্টিকর্তাও হচ্ছেন তিনি যার চেয়ে ক্ষমতাশালী কেউ নেই।


 
অন্যভাবে চিন্তা করে দেখুনতো যেহেতু এই বিশাল মহাবিশ্ব এক অতিআশ্চর্য উপায়ে সাজানো, সেহেতু একজন পরিকল্পনাকারী অবশ্যই আছেন। উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি গ্রহ গুলোর অবস্থান।সবগুলো গ্রহের অবস্থান কিন্তু পার্ফেক্টলি সাজানো।প্রতিটি গ্রহ একে অপরকে আকর্ষণ করে ধরে আছে।  কোন গ্রহ যদি সামান্য একটু যায়গা থেকে সরে যায় তাহলে পৃথিবীও কক্ষপথ থেকে সরে যাবে, ফলস্বরূপ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে বা কমে যাবে।জীবজগত হারিয়ে যাবে। ।আবার আমাদের পৃথিবীর বায়ূমন্ডলের যেকোন উপাদান যদি সামান্য পরিমাণে কম বা বেশি হয়ে যায় , তাহলে এই পৃথিবীতে অধিকাংশ প্রাণীই বেঁচে থাকবে না। এত পার্ফেক্টলি কে সাজালো? এখন ও বলবেন সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেও নেই? 


সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করলে তার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।আর যদি সৃষ্টিকর্তা না থাকেন তাহলে তো আর জবাবদিহি করা লাগবে না এটা ভেবেই নাস্তিকরা সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। তারা প্রাকৃতিক বিবর্তনের মতবাদকে মন থেকে বিশ্বাস করেন আর মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দেন।এটাই সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞার বিকল্প পথ। ঈশ্বর আছেন এবং সকলেই জানে তিনি আছেন। তবে খুব সত্যি এটাই, যখন কেউ আক্রমণাত্মকভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই বলে প্রমাণ করতে চায়, তা আসলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের পক্ষে একটা যুক্তি।

সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেও নেই???



সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেও নেই???

একটা ছোট্ট জোকসের মাধ্যমে তুলে ধরা যাক।

নাস্তিক ঃ বিজ্ঞানীরা তো DNA তৈরি করে ফেলছে এবার আস্তিক রা কি বলবে??
আস্তিক ঃ আচ্ছা DNA তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীর প্রয়োজন হয়েছে কেন??
নাস্তিক ঃ পাগল ?? এমনি এমনি কিছু হয় নাকি??
আস্তিক ঃ তাই নাকি?? তাহলে আমাদের দেহের DNA কে তৈরি করলো???
নাস্তিক ঃ ঐটা এমনি এমনিই হইছে



সৃষ্টিকর্তা বলে কি কেও নেই???

Post a Comment

1 Comments