গোপনে বিয়ে ইসলাম কি বলে?

 

নারীর অভিভাবকে না জানিয়ে বিবাহ বাতিল শরিয়তের দৃষ্ঠিতে!

ইসলাম একটি সুন্দর-স্বচ্ছ ধর্ম।ইসলামে সমস্ত বিধিনিষেধ সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা আছে।

বর্তমান যুগের অন্যতম বড় একটি প্রশ্ন হচ্ছে গোপনে বিয়ে বিষয় এ ইসলাম কি বলে?

ইসলামে গোপনে বিয়ে বাতিল।

ইসলামি শরিয়তের একদম সুস্পষ্ট বিধান হচ্ছে অভিভাবক ছাড়া নারীর বিবাহ হবে না।আর কেও করলে সেটা যিনা করার সমপর্যায়ের গোনাহ।

গোপনে বিয়ে ইসলাম কি বলে?

এটা সূর্যের মত ধ্রুব সত্য যে বর্তমানে  দুনিয়াটা চলতেছে পশ্চিমা মার্কিনীদের ইশারাতে।ইসলামকে ধ্বংস করতে তারা বদ্ধপরিকর। প্রেম ভালোবাসার নামে পবিত্র সম্পর্ক কলুষিত হচ্ছে পশ্চিমা ভাবধারার সংমিশ্রণে।

ইসলাম বিয়ের বিষয় এ নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করে রেখেছে।এগুলো মেনে চলা ফরজ।খেলাফ করলে চরম গোনাগার হতে হবে। 

ইসলামে গোপনে বিয়ে বাতিল

ইসলামে সুস্পষ্ট বলা আছে নারীর বিবাহের ক্ষেত্রে পিতামাতা জীবিত থাকলে পিতা, তাকে ছাড়া যেই নারী বিবাহ করে, বা নিজে নিজেই   নারী বিবাহ করে, সেই বিবাহ বাতিল।কয়েকটা সুস্পষ্ট  সহিহ হাদিস দেখে নেওয়া যাক।

সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থের ৯ম অধ্যায় এর ১৮৮২ নম্বর হাদিস এ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকে বিবাহ দিবে না এবং কোন মহিলা নিজেকেও বিবাহ দিবে না। কেননা যে নারী স্বউদ্যোগে বিবাহ করে সে যেনাকারিণী।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থের ৯ম অধ্যায় এর ১৮৭৯  নম্বর হাদিস যা হজরত
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মদ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে নারীকে তার অভিভাবক বিবাহ দেয়নি তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। স্বামী তার সাথে সহবাস করলে তাতে সে মাহরের অধিকারী হবে। তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে সে ক্ষেত্রে যার অভিভাবক নাই, শাসক তার অভিভাবক।

উক্ত হাদিসটি তিরমিযী শরীফে ১১০২, আবূ দাউদ শরীফে ২০৮৩, আহমাদ এ ২৩৮৫১, ২৪৭৯৮, দারেমী এ ২১৮৪, ইরওয়াহ এ ১৮৪০, মিশকাত শরীফ এ ১৩৩১, সহীহ আবী দাউদ এ ১৮১৭ নম্বরে বর্নিত আছে।

Post a Comment

0 Comments